নোয়াখালীর কথা ডেস্ক : নোবিপ্রবি ভর্তিতে কয়েকটি বিষয়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফরম বিতরণ বিষয়ে শিক্ষার্থী সহ উদ্বেগ প্রকাশকারী সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে,নোবিপ্রবি প্রশাসন উক্ত বিষয়ে অবগত রয়েছে এবং উক্ত বিষয়কে ইতিবাচক ভাবে দেখছে এবং মন্তব প্রদানের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছে।
সার্বিকভাবে বিষয়টি যৌক্তিকতা উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিন্মের লিংকের নোটিশ জারি করে। উল্লেখ্য যে, বিগত ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ফার্মেসি, সিএসটিই, বিজিই, এফটিএনএস, সমাজ বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি সহ কয়েকটি বিষয়ে পূর্বের ৬০ জন থেকে কমিয়ে কোন কোন বিষয়ে ২৫ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে, যা বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিরল, শুধুমাত্র মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়েই উক্ত কঠিন সিদ্ধান্ত মাননীয় উপাচার্যের সিদ্ধন্তক্রমে একাডেমিক কাউন্সিলের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়।
উল্লেখ্য যে বিগত বছরের শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয় বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, প্রথম পর্ব ভর্তির পরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী অন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, অন্য বিষয়ে মাইগ্রেশন ও বিভিন্ন কারণে ভর্তি বাতিলের ফলে বেশিরভাগ বিষয়েই আসন খালি থেকে যায়, একই সাথে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী পরীক্ষায়উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তির যোগ্যতা থাকা সত্তেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়, একাধিকবার অপেক্ষমান তালিকা থেকে ডেকেও পুরোপুরি আসন পূরণ করা সম্ভব হয় না। যা আমাদের দেশের জন্য মেধা ও অর্থের সদব্যবহার হয়না।
বর্তমান শিক্ষাবর্ষে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট শাহজালাল, ডেন্টাল সহ বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ার উপরোক্ত প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের ড্রপআউট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে, A, B ও C ইউনিটে যতজন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন নিয়েছে তার চেয়ে কম সংখ্যক শিক্ষার্থী জমা দিয়েছেন এবং জমাদানকারী অনেকেই কাগজপত্র অন্যত্র সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য আবেদনের মাধ্যমে উঠিয়ে নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে A ইউনিটে ৫০ টি ভর্তি ফরম জমা না পড়ায় ১২ নভেম্বর তারিখে পুনরায় অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের ডাকা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেশনযট এড়ানো সহ শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে আগামী ৩ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে নতুন শিক্ষার্থীদের (১৪তম ব্যাচের) ক্লাশ শুরুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। বিভিন্ন বিষয়ে আসন খালি রেখে ক্লাস শুরু করলে পরবর্তীতে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীরা শুরুর দিকের গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস থেকে বঞ্চিত হয়, আবার যদি কোন শিক্ষার্থী ক্লাস করার পর চলেও যায় তথাপি তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা। সাধারণত মেধাতালিকার প্রথম দিকের শিক্ষার্থীগণ তুলনামূলক বেশী মেধাবী হয়ে থাকে, অপেক্ষমান তালিকার দূরবর্তী শিক্ষার্থীরা তুলনামূলক কম মেধাবী হয়ে থাকে।
উপরোক্ত বাস্তবতার ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে বিজ্ঞানে অধ্যয়নে ইচ্ছুক কয়েকটি বিষয়ে নির্দিষ্ট আসনের বিপরীতে কিছু শিক্ষার্থী বেশী নেওয়া হলেও প্রত্যেক বিষয়ে নির্ধারিত আসনের অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবেনা। এবং সিএসটিই, এসিসিই, ফার্মেসি, বিবিএ সহ বেশিরভাগ বিষয়েই অতিরিক্ত একজনকে ও ভর্তির আবেদন পত্র দেওয়া হয়নি। প্রথম দিকের মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানোর জন্য বি ও ডি ইউনিটের তুলনামূলক শেষের দিকের কিছু বিষয়ে বাড়তি শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফরম বিতরণ করা হয়েছে।
নোবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ মানসম্পন্ন শিক্ষাদানে বদ্ধপরিকর। এতদ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করা হল।
http://nstu.edu.bd/…/%e0%a7%a8%e0%a7%a6%e0%a7%a7%e0%a7%ae-…/